Earthquake in Myanmar and Thailand :মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে শক্তিশালী ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে একটি ৩০ তলা ভবন ধসে পড়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত বিবরণী সারাংশ টেবিল (Earthquake in Myanmar and Thailand) :
ভূমিকম্পের মাত্রা | ৭.৭ (মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তে) |
আক্রান্ত প্রধান শহর | ব্যাংকক (থাইল্যান্ড), মোনিওয়া (মায়ানমার), কলকাতা, ইম্ফল (ভারত) |
ক্ষয়ক্ষতি | – ব্যাংককে ৩০ তলা ভবন ধসে ২ জন নিহত, ৪৩ জন আটকা – মায়ানমারে সেতু ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত |
ভারতে প্রভাব | কলকাতা, ইম্ফল ও মেঘালয়ে কম্পন অনুভূত (কোনো ক্ষয়ক্ষতি নাই) |
প্রতিক্রিয়া | – থাইল্যান্ডে স্টক মার্কেট বন্ধ – ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন |

প্রধান তথ্য:
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মায়ানমারের মোনিওয়া শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে।
- ব্যাংককের উত্তরাংশে নির্মাণাধীন ভবনটি ধসে পড়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
- থাই কর্তৃপক্ষের মতে, ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে এখনও ৪৩ জন শ্রমিক আটকা পড়ে থাকতে পারেন।
- মায়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে একটি ৯০ বছর পুরনো সেতু ভেঙে পড়েছে।
- ভূমিকম্পের প্রভাবে থাইল্যান্ডের স্টক এক্সচেঞ্জ বিকালের ট্রেডিং বাতিল করেছে।
ভারতেও টের পেয়েছেন মানুষ:
- কলকাতা ও ইম্ফলের বাসিন্দারা হালকা কম্পন অনুভব করেছেন।
- মেঘালয়ের পূর্ব গারো পাহাড়ে ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়েছে।
- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, “ভারত প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”
ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণ প্রচেষ্টা:
- ব্যাংকককে “দুর্যোগপূর্ণ এলাকা” ঘোষণা করা হয়েছে।
- মায়ানমারের নাইপিদোয় ধর্মীয় স্থাপনা ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
- বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামেও ভূমিকম্পের টের পাওয়া গেছে, তবে সেখানে ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।

***সতর্কতা: ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় আরও আফটারশক আসতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছে।