Shahid Afridi on Pahalgam Attack :গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ নিরীহ মানুষের প্রাণ হারায়। এই ঘটনার দায় লাশকার-ই-তাইবার সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স (TRF) নেয়। তবে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি এই হামলার দায় ভারতের সেনাবাহিনীর ওপর চাপিয়েছেন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রমাণ দাবি করেছেন।
Shahid Afridi on Pahalgam Attack সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ:
| বিষয় | বিস্তারিত |
|---|---|
| ঘটনা | ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলা, ২৬ জন নিহত। |
| দাবিকৃত দায় | TRF (পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী) হামলার দায় স্বীকার করে। |
| শাহিদ আফ্রিদির বক্তব্য | “ভারত নিজেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।” |
| ভারতের পদক্ষেপ | পাকিস্তানি মিডিয়ার ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক, ভিসা বাতিল ও জল চুক্তি স্থগিত। |
| আফ্রিদির সমালোচনা | “কাশ্মীরে ৮ লক্ষ সেনা থাকার পরও হামলা রোধ করতে ব্যর্থ!” |
| শান্তির বার্তা | “পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে না, আমরা শান্তি চাই।” |
“ভারত নিজেই সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টি করে”
শাহিদ আফ্রিদি পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “পাহালগামে সন্ত্রাসীরা এক ঘণ্টা ধরে মানুষ হত্যা করল, কিন্তু ভারতের ৮ লক্ষ সেনার মধ্যে একজনও ঘটনাস্থলে পৌঁছাল না। যখন তারা এল, তখন দোষ দিল পাকিস্তানের ওপর।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ভারত নিজেই সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টি করে, নিজের মানুষকে হত্যা করে এবং পরে পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলে।”
“পাকিস্তান কখনও সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে না”
আফ্রিদি পাকিস্তানের (Shahid Afridi on Pahalgam Attack)পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, “কোনো দেশ বা ধর্মই সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে না। আমরা সবসময় শান্তি চাই। ইসলাম আমাদের শান্তির শিক্ষাই দেয়। পাকিস্তান কখনও এমন কাজ সমর্থন করে না। আমরা সবসময় ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছি।”
তিনি ক্রীড়া কূটনীতির উদাহরণ টেনে বলেন, “২০১৬ সালের T20 বিশ্বকাপের সময় আমি অধিনায়ক ছিলাম, তখনও আমরা ভারত যাব কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। ভারত তাদের কাবাডি দল পাঠায়, কিন্তু ক্রিকেট দল পাঠায় না। যদি সম্পর্ক বন্ধ করতেই হয়, তবে পুরোপুরি করো, নাহলে খেলার মাধ্যমেই সমাধান খোঁজো।”
ভারতের জবাব: পাকিস্তানি মিডিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ
এই হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জটিল করে তুলেছে। পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে এবং সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া, ভারত সরকার পাকিস্তানি মিডিয়ার ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করেছে, যেগুলো সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছিল।
আফ্রিদির (Shahid Afridi on Pahalgam Attack) বিতর্কিত মন্তব্য
আফ্রিদি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে বলেছেন, “কাশ্মীরে তোমাদের ৮ লক্ষ সেনা থাকার পরও এটা ঘটল? এর মানে তোমরা অদক্ষ, নির্বোধ… মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছ না!”
তিনি ভারতীয় মিডিয়ার কভারেজকে “বলিউডি নাটক” বলে উল্লেখ করেন এবং ক্রিকেট সম্প্রদায়কে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দোষারোপ করার জন্য সমালোচনা করেন।
উপসংহার
শাহিদ আফ্রিদির এই বক্তব্য ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন করে উত্তাপ সৃষ্টি করেছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উভয় দেশের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন হলেও, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সংঘাত এখনও অমীমাংসিত রয়েছে। এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, নিরীহ মানুষের মৃত্যু সবদিক থেকেই মর্মান্তিক।
