RCB Win IPL Trophy 2025 :আমেদাবাদ, ২৫ মে ২০২৫ – ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চে শেষ পর্যন্ত নিজেদের আধিপত্য প্রমাণ করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)। ১৮ বছরের অপেক্ষা, অসংখ্য হতাশা এবং ঘনিষ্ঠ হারকে পেছনে ফেলে আইপিএলের শিরোপা জিতল বিরাট কোহলির দল। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইপিএল ২০২৫ ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে (PBKS) ৬ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল আরসিবি।
আইপিএল ২০২৫ ফাইনাল সংক্ষিপ্ত সারাংশ (RCB Win IPL Trophy 2025) :
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
ম্যাচ | RCB vs PBKS (ফাইনাল) |
ফলাফল | RCB ১৯০/৯ (২০ ওভার), PBKS ১৮৪/৭ (২০ ওভার) – RCB ৬ রানে জয়ী |
ম্যান অব দ্য ম্যাচ | শশাঙ্ক সিং (PBKS) – ৬১* (৩০ বল) |
সেরা পারফরম্যান্স | RCB: বিরাট কোহলি (৪৩), জিতেশ শর্মা (২৪), ভুবনেশ্বর কুমার (২/২৫) |
ট্রফি | আরসিবির প্রথম আইপিএল শিরোপা (১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান) |
গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত | শেষ ওভারে PBKS-এর ১৫ রান প্রয়োজন ছিল, কিন্তু RCB জয় নিশ্চিত করে। |

ফাইনালের রোমাঞ্চকর মুহূর্ত
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আরসিবি প্রথমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান সংগ্রহ করে। শুরুতে ফিল সল্ট (১৬) ও বিরাট কোহলি (৪৩) দায়িত্বশীল ইনিংস খেললেও মাঝারি সারির ব্যাটসম্যানরা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। লিয়াম লিভিংস্টোন (২৫), জিতেশ শর্মা (২৪) এবং রোমারিও শেফার্ডের (১৭) শেষ মুহূর্তের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলের স্কোর ১৯০-এ পৌঁছায়। পাঞ্জাবের পক্ষে আর্শদীপ সিং ও কাইল জেমিসন ৩টি করে উইকেট নেন।
জবাবে পাঞ্জাব কিংসের ইনিংস শুরু হয় দ্রুতগতিতে। প্রিয়াংশ আর্যা (২৪) ও প্রভসিমরণ সিং (২৮) ভালো সূচনা করলেও নিয়মিত উইকেট হারিয়ে তারা পিছিয়ে পড়ে। জশ ইংলিস (৩৯) ও শশাঙ্ক সিংয়ের (৬১*) চেষ্টা সত্ত্বেও টার্গেটের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় পাঞ্জাব। ভুবনেশ্বর কুমার ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ওভারে ১৫ রানের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু পাঞ্জাব ১৮৪ রানে গুটিয়ে যায়।
কোহলির আবেগঘন মুহূর্ত
বিরাট কোহলি, যিনি ২০০৮ সাল থেকে আরসিবির হয়ে লড়েছেন, তাঁর চোখে জল এসে গিয়েছিল ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই। “এই জয় শুধু আমাদের নয়, লক্ষ্মণ ফ্যানসের। যারা বছরের পর বছর আমাদের সঙ্গে থেকেছেন, তাদের জন্য এই জয় উৎসর্গ করছি,” বললেন কোহলি ম্যাচ পরবর্তী সাক্ষাৎকারে।

এক যুগের অপেক্ষার অবসান
আরসিবির এই জয় শুধু একটি ট্রফি নয়, এটি একটি স্বপ্নের ফসল। ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৬ সালে ফাইনালে হেরে গিয়েছিল দলটি। এবার অবশেষে সেই অভিশাপ ভেঙে ইতিহাস তৈরি করলেন কোহলি ও তাঁর সঙ্গীরা।
টিম স্পিরিটের জয়
এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে সম্মিলিত প্রচেষ্টা। কোহলির নেতৃত্ব, ফাফ ডু প্লেসিসের অভিজ্ঞতা, মোহাম্মদ সিরাজ ও জোশ হজলউডের বোলিং এবং যুবা খেলোয়াড়দের সাহসী পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে একটি সম্পূর্ণ টিমের জয় দেখল বিশ্ব।

সমর্থকদের জন্য উৎসবের রাত
বেঙ্গালুরু থেকে আমেদাবাদ, গোটা দেশে আরসিবি ফ্যান্সেরা উল্লাসে মাতোয়ারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় #RCBChampions ট্রেন্ড করছে, রাস্তায় রাস্তায় লাল-কালো পতাকা উড়ছে।
ভবিষ্যতের পথে আরসিবি
এই জয় দিয়ে আরসিবি প্রমাণ করল, ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের কোনো বিকল্প নেই। এখন লক্ষ্য পরবর্তী মৌসুমে এই সাফল্য ধরে রাখা।
শেষ কথাঃ
“ই সালা কাপ নামদে”—এই স্লোগান আজ বাস্তবে রূপ নিল। বিরাট কোহলি ও আরসিবির এই জয় ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।