Air India Plane Crash :আহমেদাবাদ, ভারত, ১২ জুন (রয়টার্স) – লন্ডনগামী একটি এয়ার ইন্ডিয়া বিমান যাত্রা শুরুর কয়েক মিনিট পরই আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় ২৯০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যা গত এক দশকের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। বিমানটি ব্রিটেনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে আহমেদাবাদের একটি মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আঘাত হানে, যেখানে দুপুরের খাবারের সময় অনেক ছাত্র উপস্থিত ছিল।
সংক্ষিপ্ত সারণী: আহমেদাবাদ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা (Air India Plane Crash ):
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
ঘটনার তারিখ | ১২ জুন, ২০২৫ |
অবস্থান | আহমেদাবাদ, ভারত |
বিমান সংস্থা | এয়ার ইন্ডিয়া |
বিমানের মডেল | বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার |
যাত্রী ও ক্রু সংখ্যা | ২৪২ জন (২১৭ প্রাপ্তবয়স্ক, ১১ শিশু, ২ শিশু) |
নিহতের সংখ্যা | ২৯০+ (যাত্রী ও স্থলজ ব্যক্তি) |
আহত ও বেঁচে যাওয়া | ১ জন নিশ্চিত (রমেশ বিশ্বশকুমার), আরও সম্ভাব্য |
গন্তব্য | লন্ডন গ্যাটউইক বিমানবন্দর |
দুর্ঘটনার কারণ | তদন্তাধীন (প্রাথমিকভাবে টেকঅফের পর ইঞ্জিনে সমস্যা সন্দেহ) |
প্রতিক্রিয়া | ভারত ও ব্রিটেনের সরকার শোক প্রকাশ, বোয়িং তদন্তে সহায়তা করছে |


Air India Plane Crash
একমাত্র বেঁচে যাওয়া যাত্রী
পুলিশ জানিয়েছে, কমপক্ষে একজন যাত্রী বেঁচে আছেন। ৪০ বছর বয়সী রমেশ বিশ্বশকুমার (সিট ১১এ) হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, “টেকঅফের ৩০ সেকেন্ড পরই একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই, এরপরই বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে।” তিনি বলেন, “আমার চারপাশে শুধু লাশ আর ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিল। আমি দৌড়ে পালিয়েছি, কেউ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।” রমেশ তার ভাই অজয়কে খুঁজে পাচ্ছেন না, যিনি বিমানের অন্য একটি সিটে ছিলেন।

Air India Plane Crash
ক্ষয়ক্ষতি ও উদ্ধার অভিযান
গুজরাটের পুলিশ অফিসার বিধি চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন যে প্রায় ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু মেডিকেল ছাত্রও রয়েছে। আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জি.এস. মালিক জানান, মৃতদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। ধ্বংসস্তূপ থেকে দেহাবশেষ উদ্ধার করা হচ্ছে, এবং ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে।

Air India Plane Crash
বিমানটির অবস্থা ও তদন্ত
বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, যা ২০১৪ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার বহরে যুক্ত হয়। এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী, এটি ড্রিমলাইনার প্রথম মারাত্মক দুর্ঘটনা। বিমানটি টেকঅফের পরই মে-ডে সংকেত দেয়, কিন্তু এরপর আর কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার নামানো অবস্থায় ছিল, যা সাধারণত টেকঅফের সময় উঠে রাখা হয়।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনাকে “হৃদয়বিদারক” বলে উল্লেখ করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও শোক প্রকাশ করেছেন, কারণ বিমানটিতে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন। বোয়িং এবং জিই অ্যারোস্পেস তাদের বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়ে তদন্তে সহায়তা করছে।
ভারতের বিমান চলাচলের নিরাপত্তা
২০২০ সালের পর এটিই ভারতের প্রথম বড় বিমান দুর্ঘটনা। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকলেও আংশিকভাবে চালু হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া, যা সম্প্রতি টাটা গ্রুপের অধীনে এসেছে, এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে।

Air India Plane Crash
উপসংহার:
এই দুর্ঘটনা বিশ্বজুড়ে বিমান নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। তদন্ত চলাকালীন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানানো হচ্ছে এবং উদ্ধারকারী দলগুলি ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে নিযুক্ত আছে।