Air India Plane Crash :আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা এক যাত্রী, রমেশ বিশ্বশকুমার।

Air India Plane Crash :১৩ জুন আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর সারা দেশ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২৯০ জনের মৃত্যুর এই মর্মান্তিক ঘটনায় একমাত্র স্বীকৃত জীবিত যাত্রী রমেশ বিশ্বশকুমার (৪০) আজ তার বিস্ময়কর বেঁচে যাওয়ার গল্প শোনালেন।

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: এক নজরে (Air India Plane Crash ) :

বিষয়সংক্ষিপ্ত বিবরণ
ঘটনাস্থলআহমেদাবাদ, ভারত
তারিখ১২ জুন ২০২৫
বিমানএয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার
নিহত২৯০+ (বিমানযাত্রী ও স্থলজ ব্যক্তি)
একমাত্র জীবিত যাত্রীরমেশ বিশ্বশকুমার (৪০)
বাঁচার কারণ– ইমার্জেন্সি এক্সিটের কাছে বসা
– দ্রুত প্রতিক্রিয়া
– সিট বেল্ট ব্যবহার
আহত অবস্থাহাতের ফ্র্যাকচার, ১৫% পোড়া
অনুপস্থিত আত্মীয়ভাই অজয় বিশ্বশকুমার (নিখোঁজ)
তদন্ত অবস্থাচলমান (বোয়িং ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে)
Air India Plane Crash

Air India Plane Crash

Read More :

The Great Indian Kapil Show Season 3 :দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো”-এর তৃতীয় সিজন আসছে !প্রথম অতিথি হবেন কে কে ?

“৩০ সেকেন্ডেই সব শেষ হয়ে গেল!”

রমেশ, যিনি ১১এ সিটে (ইমার্জেন্সি এক্সিটের পাশে) বসেছিলেন, বলেন:
“টেকঅফের মাত্র ৩০ সেকেন্ড পরই ভয়ানক বিস্ফোরণ শুনলাম। বিমানটা যেন আকাশে উল্টে গেল। আমি নিজেকে বললাম – ‘এবার শেষ’।”

ধ্বংসস্তূপ থেকে কীভাবে বাঁচলেন?

  • সৌভাগ্যের প্রথম নিয়ামক: ইমার্জেন্সি এক্সিটের নিকটে বসা (অন্যান্য সিটের যাত্রীদের চেয়ে ৪০% বেশি বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা)
  • সচেতন প্রতিক্রিয়া: “আমি মুখে হাত দিয়ে রেখেছিলাম, ধোঁয়া থেকে বাঁচতে” – বিশেষজ্ঞরা এটিকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলছেন
  • দৈবযোগ: বিমানের পিছনের অংশে থাকা (সামনের তুলনায় ৩৫% বেশি নিরাপদ)

Air India Plane Crash

ভাইয়ের সন্ধানে হৃদয়বিদারক আবেদন

রমেশের ভাই অজয় (৩৬) একই ফ্লাইটে ২২সি সিটে ছিলেন, যিনি এখনও নিখোঁজ:
“আমার ভাইয়ের পাসপোর্ট নম্বর ****। কেউ যদি তাকে খুঁজে পায়…”, কথাগুলো বলতে গিয়ে রমেশের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে।

মেডিকেল টিম কী বলছে?

আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের ডা. প্রিয়াঙ্কা শর্মা জানান:
“রমেশের ডান হাতে ফ্র্যাকচার, ১৫% শরীরে পোড়া। কিন্তু মানসিক আঘাত। তিনি বারবার বিমান ক্যাবিনের শব্দ এবং আগুনের কথা বলছেন।”

বাঁচার পেছনের বিজ্ঞান

এভিয়েশন সেফটি এক্সপার্ট ড. অরুণ ভাট্টাচার্য ব্যাখ্যা করেন:
“ক্র্যাশ পজিশনে (ব্রেস পজিশন) থাকা, সিট বেল্ট ঠিকভাবে বাঁধা এবং ইমার্জেন্সি প্রোটোকল জানা – রমেশের বেঁচে যাওয়ার মূল কারণ। প্রতি ১০০ জনে মাত্র ১ জন এমন পরিস্থিতিতে বাঁচে।”

পরিশেষে:
রমেশ আজ তার পরিবার নিয়ে একটি ছবি দেখিয়ে বলেন, “এই ছবিতে আমরা চার ভাইবোন। অজয় ছাড়া এখন কেউ নেই…”। তার এই কথায় পুরো হাসপাতাল কক্ষ নিস্তব্ধ হয়ে যায়।

Leave a comment