Arijit Singh Say Sorry to Mahira Khan :দুবাইয়ের কনসার্টে পাকিস্তানি অভিনেত্রী, মাহিরা খানের কাছে সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ! কিন্তু কেন? কোন ভুলে ক্ষমা চাইতে হল পাক-অভিনেত্রীর কাছে? সবকিছুই চলছিল পরিকল্পনামাফিকই। কনসার্টে একের পর এক গান গেয়ে চলেছেন অরিজিৎ সিং।
হঠাৎই গান থামিয়ে দিলেন তিনি। গায়কের চোখ তখন একটি বিশেষ দর্শক আসনের দিকে। আগুন্তি দর্শকও তখন চেষ্টা চালাচ্ছেন অরিজিতের দৃষ্টি অনুসরণ করার। শয়ে শয়ে দর্শকদের মাঝেই তখন তিনি বলে ওঠেন, ‘আপনারা হয় তো জানলে অবাক হবেন। আমি কি বলব? আচ্ছা একটু অন্যভাবে বলছি।’ একটি বিশেষ জায়গা উদ্দেশ্য করে তিনি বললেন, ‘ওখানে কি কোনও ক্যামেরা আছে? অনেকক্ষণ ধরে আমি একজনকে চেনার চেষ্টা করছি।
Arijit Singh Says Sorry to Mahira Khan
তারপর মনে পড়ল আরে, আমি তো ওঁর জন্য গানও গেয়েছিলাম… জালিমা।’ ততক্ষণে বড় স্ক্রিনে ভেসে উঠেছে মাহিরা খানের মুখ। চোখে-মুখে উত্তেজনার ছাপ। অরিজিৎ বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমি চিনতে পারিনি। অসংখ্য ধন্যবাদ এখানে আসার জন্য।’
মাহিরা খানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
মাহিরা খান একজন অত্যন্ত প্রশংসিত পাকিস্তানি অভিনেত্রী যিনি তার ব্যতিক্রমী প্রতিভা এবং চিত্তাকর্ষক পর্দা উপস্থিতির জন্য পরিচিত। 21শে ডিসেম্বর, 1984 সালে পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি অভিনয়ে রূপান্তরিত হওয়ার আগে এমটিভি পাকিস্তানে ভিজে হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
মাহিরা 2011 সালে পাকিস্তানি টেলিভিশন নাটক “নিয়ত” তে তার অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু এটি ফাওয়াদ খানের বিপরীতে ব্লকবাস্টার ড্রামা সিরিয়াল “হামসাফর” (2011) তে খিরাদের ভূমিকায় ছিল যা তাকে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছিল। শোটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে, মাহিরাকে পাকিস্তানি বিনোদন শিল্পের অন্যতম প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
টেলিভিশনে তার সাফল্য মাহিরাকে পাকিস্তানি সিনেমায় আসার পথ প্রশস্ত করেছিল। তিনি শোয়েব মনসুরের “বোল” (2011) এর মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, যেখানে তিনি সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা একজন মহিলা হিসাবে একটি শক্তিশালী অভিনয় করেছিলেন। যাইহোক, বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের বিপরীতে সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত চলচ্চিত্র “রইস” (2017) তে শোয়েব খানের প্রেমের আগ্রহের ভূমিকা ছিল যা তাকে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
মাহিরা খানের প্রতিভা, বহুমুখিতা এবং অনস্বীকার্য ক্যারিশমা লাক্স স্টাইল অ্যাওয়ার্ড এবং হাম অ্যাওয়ার্ড সহ তার অসংখ্য প্রশংসা অর্জন করেছে। তার অভিনয় দক্ষতার বাইরে, মাহিরা তার জনহিতকর কাজ এবং সামাজিক কারণগুলির জন্য সমর্থনের জন্যও পরিচিত, যা তাকে পর্দায় এবং অফ-স্ক্রিন উভয় ক্ষেত্রেই একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব করে তোলে।
তার ক্যারিয়ার জুড়ে চ্যালেঞ্জ এবং বিতর্কের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও, মাহিরা খান তার নৈপুণ্যের প্রতি তার উত্সর্গ এবং পর্দায় অর্থপূর্ণ চরিত্রগুলিকে চিত্রিত করার জন্য তার অটল প্রতিশ্রুতি দিয়ে দর্শকদের অনুপ্রাণিত করে চলেছেন। তিনি পাকিস্তানি বিনোদনের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং শিল্পে নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে রয়ে গেছেন।
