Bangladesh Crisis :কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নজর রাখছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ রাখা হয়েছে। দিল্লিতে সর্বদল বৈঠকে তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে এখনই ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে আনা হচ্ছে না। তবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং প্রয়োজন হলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে ভারতীয়দের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দ্রুত পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকার:সংক্ষিপ্তসার
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
সরকারী পদক্ষেপ | ভারতীয়দের বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে আনার পরিকল্পনা আপাতত নেই, পরিস্থিতি নজরে রাখা হচ্ছে |
সর্বদল বৈঠক | কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সব দল |
সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ | বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে কথা হয়েছে |
ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা | বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রী |
শেখ হাসিনার পরিস্থিতি | হাসিনা বর্তমানে দিল্লিতে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত |
সীমান্ত পরিস্থিতি | ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতি গুরুতর নয় |
পরবর্তী পদক্ষেপ | প্রয়োজন হলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে |
প্রবাসী ভারতীয়দের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ | পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রবাসী ভারতীয়দের সুরক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা |
হাসিনার ইস্তফা এবং অবস্থান | হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে এসেছেন, বর্তমানে দিল্লিতে অবস্থান করছেন |
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আপাতত তাঁদের বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে আনা হবে না। তবে যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির জন্য ভারত সরকার প্রস্তুত থাকবে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতির দিকেও নজর রয়েছে সরকারের। জয়শঙ্কর জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি এখন গুরুতর নয়। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Bangladesh Crisis
জয়শঙ্কর আরও জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাঁকে সময় দেওয়া হয়েছে এবং তিনি তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ভারত সরকার তাঁর বক্তব্য শুনে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে।
সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত সব দলই কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়েছে। তারা কেন্দ্রের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও একই অবস্থান নিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে হাসিনা ইস্তফা দেওয়ার পর বর্তমানে বাংলাদেশের ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে। নতুন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে প্রবাসী ভারতীয়দের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই কেন্দ্রের প্রধান লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, সোমবার হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এবং ভারতে আসেন। তিনি গাজ়িয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে অবতরণ করেন এবং সেখানেই রাত কাটান। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছেন।