Good Quality Sweet Mangoes Identify :গ্রীষ্মকাল এলেই বাজারে দেখা মেলে নানা রকম আমের। ফজলি, ল্যাংড়া, হিমসাগর, গোপালভোগ—কত নাম, কত স্বাদ! কিন্তু ভালো আম চেনাটা অনেকের জন্যই কঠিন। নিম্নমানের আম কিনে অনেকে প্রতারিত হন। তাই আজ আমরা জানবো, কীভাবে সহজেই চিনবেন সুস্বাদু ও তাজা আম।
ভালো আম চেনার সহজ উপায় (সারাংশ টেবিল,Good Quality Sweet Mangoes Identify) :
পরীক্ষার বিষয় | ভালো আমের লক্ষণ | খারাপ আমের লক্ষণ |
---|---|---|
গন্ধ | মিষ্টি ও প্রাকৃতিক গন্ধ | গন্ধহীন বা অস্বাভাবিক গন্ধ |
রং | জাত অনুযায়ী স্বাভাবিক রং (হলুদ/সবুজ) | অস্বাভাবিক উজ্জ্বল রং বা দাগ |
স্পর্শ | হালকা নরম (পাকা), শক্ত (কাঁচা) | বেশি নরম বা শক্ত |
বোঁটা | সতেজ ও সবুজ | শুকনো বা কালচে |
ওজন | আকারের তুলনায় ভারী | হালকা বা ফাঁপা |
দাগ/ফাটল | দাগমুক্ত ও মসৃণ | কালো দাগ, ফাটল বা পচন |
কেমিক্যাল চিহ্ন | প্রাকৃতিক রং, মিষ্টি গন্ধ | সাদা/নীল দাগ, গন্ধহীন |

১. গন্ধ দিয়ে চেনা যায়
ভালো আমের একটি মিষ্টি ও প্রাকৃতিক গন্ধ থাকে। আমের বোঁটার কাছে নাক নিয়ে শুঁকলে যদি হালকা মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যায়, তাহলে বুঝবেন আমটি ভালো। যদি গন্ধই না পাওয়া যায়, তাহলে সম্ভবত আমটি কাঁচা বা রাসায়নিক দিয়ে পাকানো।
২. রং দেখে চেক করুন
প্রতিটি আমের জাতের আলাদা রং থাকে। যেমন:
- ল্যাংড়া আম – হালকা সবুজ ও হলদেটে।
- হিমসাগর – গাঢ় হলুদ।
- ফজলি – সোনালি-হলুদ।
যদি আমের রং অস্বাভাবিক মনে হয় বা দাগ দেখা যায়, তাহলে সেটি নষ্ট হতে পারে।

৩. স্পর্শ করে দেখুন
আমটি হাতে নিয়ে হালকা চাপ দিন। যদি সামান্য নরম অনুভূত হয়, তাহলে আমটি পাকা। কিন্তু বেশি নরম হলে বুঝবেন আমটি নষ্ট হয়ে গেছে। আবার শক্ত আম কিনলে তা কয়েক দিন রেখে পাকাতে হবে।
৪. বোঁটা পরীক্ষা করুন
আম কেনার সময় বোঁটার দিকে খেয়াল করুন। যদি বোঁটা সতেজ ও সবুজ দেখায়, তাহলে আমটি তাজা। বোঁটা শুকনো বা কালচে হলে বুঝবেন আমটি অনেক দিনের পুরনো।
৫. আকার ও ওজন দেখুন
ভালো আম সাধারণত তার আকারের তুলনায় ভারী হয়। হাতে নিয়ে দেখুন, আমটি যদি বেশ মজবুত ও ভারী মনে হয়, তাহলে এটি রসালো ও সুস্বাদু হবে।
৬. কালো দাগ বা ফাটল এড়িয়ে চলুন
আমের গায়ে কালো দাগ, ফাটল বা পচনের চিহ্ন থাকলে সেটি কিনবেন না। এগুলো নষ্ট আমের লক্ষণ।
৭. কীটনাশক ও কেমিক্যাল মুক্ত আম চিনবেন কিভাবে?
কৃত্রিমভাবে পাকানো আমে অনেক সময় কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কীভাবে চিনবেন?
- অস্বাভাবিক রং: কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আমের রং একটু বেশি উজ্জ্বল ও অস্বাভাবিক দেখায়।
- গন্ধহীন: প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমের গন্ধ থাকে, কেমিক্যালযুক্ত আমে গন্ধ কম।
- দাগ: কেমিক্যালযুক্ত আমের গায়ে সাদা বা নীলচে দাগ থাকতে পারে।
৮. স্থানীয় ও মৌসুমী আম কিনুন
স্থানীয় বাজার বা কৃষকের কাছ থেকে আম কিনলে তাজা ও ভালো মানের পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমের মৌসুমে (মে-জুলাই) কেনাই ভালো, কারণ এই সময়ে প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম পাওয়া যায়।
সতর্কতা:
- অতিরিক্ত শক্ত আম কিনলে তা পাকাতে সময় লাগবে।
- আগে থেকে কাটা আম কিনবেন না, এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে।
- প্লাস্টিকের প্যাকেটে আম কিনলে তা দ্রুত নষ্ট হয়, তাই খোলা জায়গায় রাখুন।
সর্বোত্তম উপায়:
আম কেনার আগে একটু সময় নিয়ে দেখুন, গন্ধ নিন, হাত দিয়ে চাপ দিয়ে পরীক্ষা করুন। ভালো মানের আম খেলে যেমন স্বাদ পাবেন, তেমনই পুষ্টিও পাবেন।

মনে রাখবেন, একটি ভালো আম শুধু মুখেই মিষ্টি লাগে না, তা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো!
আপনার কি আম পছন্দ? কোন আমটি আপনার সবচেয়ে প্রিয়? কমেন্টে জানান