KL Rahul Reaction to Virat Kohli, IND vs AUS Champions Trophy 2025:২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক অসাধারণ ইনিংস খেললেও ভিরাট কোহলির একটি অপ্রয়োজনীয় শট সবার মন খারাপ করে দিল। ৮৪ রানে উইকেট হারানোর পর সঙ্গী কেএল রাহুল তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কোহলির এই আউট অস্ট্রেলিয়াকে নতুন করে আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত ভারত জয়ী হয়ে ফাইনালে পৌঁছায়।
ম্যাচ সারসংক্ষেপ (২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমিফাইনাল – ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া,KL Rahul Reaction to Virat Kohli, IND vs AUS )
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
ম্যাচের ধরন | চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমিফাইনাল |
লক্ষ্য | ভারতের লক্ষ্য ছিল ২৬৫ রান |
কোহলির ইনিংস | ৮৪ রান (অপ্রয়োজনীয় স্লগ সুইপে আউট) |
রাহুলের ইনিংস | ৪২ রান (অপরাজিত, ম্যাচ জয়ী ছক্কা) |
গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ | কোহলি-আইয়ের ৯১ রান, কোহলি-রাহুলের জুটি |
রাহুলের প্রতিক্রিয়া | “মেইন মার রহা থা না” (আমি তো বলগুলো মারছিলাম!) |
ম্যাচ ফলাফল | ভারত জয়ী, ফাইনালে উত্তীর্ণ |
সেঞ্চুরির সুযোগ | কোহলি ১৬ রান দূরে ছিলেন ৫২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি থেকে |
ম্যাচের নায়ক | কোহলির মাস্টারক্লাস ইনিংস এবং রাহুলের শান্ত মাথায় ম্যাচ শেষ করা |
KL Rahul Reaction to Virat Kohli
History of Chhaava :মুভি দেখার আগে জেনে নিন, ছাওা (শম্ভাজী মহারাজ) কে ছিলেন ?
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
ডুবাইয়ের মাঠে ভারতের লক্ষ্য ছিল ২৬৫ রান। শুরুতেই রোহিত শর্মা (২৮) এবং শুভমান গিল (৯) দ্রুত আউট হয়ে গেলে কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ের (৪৫) জুটি ৯১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচে ভারসাম্য ফেরায়। এরপর কেএল রাহুলের সঙ্গে কোহলির জুটি ম্যাচকে ভারতের দিকে নিয়ে যায়। ৪০ ওভার শেষে ভারতের প্রয়োজন ছিল আরও ৬৫ রান ৬০ বল বাকি থাকতে। এই সময় ড্রিংকস ব্রেকে রাহুল কোহলিকে শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে ম্যাচ শেষ করার পরামর্শ দেন।
রাহুল নিজে আক্রমণাত্মক খেলার সিদ্ধান্ত নেন এবং পরের কয়েক বলেই একটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। এরপর একটি সিঙ্গল নিয়ে কোহলিকে স্ট্রাইক ফেরত দেন। ভারতের প্রয়োজন ছিল ৪৫ বলে ৪০ রান। কোহলি তখন ১৬ রান দূরে তার ৫২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি থেকে। কিন্তু এই মুহূর্তেই ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত। অ্যাডাম জাম্পার বলে অপ্রয়োজনীয় স্লগ সুইপ মারতে গিয়ে কোহলি লং-অনে ক্যাচ দিয়ে দেন।
রাহুলের ক্ষোভ (KL Rahul Reaction to Virat Kohli)
কোহলির এই আউটে সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হন কেএল রাহুল। নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা রাহুল কোহলিকে বললেন, “মেইন মার রহা থা না” (আমি তো বলগুলো মারছিলাম!)। রাহুলের এই প্রতিক্রিয়া ছিল ক্ষোভের চেয়েও হতাশার। কারণ, কোহলির আউটের ঠিক আগের বলেই রাহুল একটি ছক্কা মেরেছিলেন, এবং ভারতের প্রয়োজন ছিল বলপ্রতি একটি রানেরও কম।
কোহলির মাস্টারক্লাস
যদিও এই একটি ভুল শট কোহলির ইনিংসের মহিমা কমাতে পারেনি। ৮৪ রানের এই ইনিংসে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছিলেন। বিশেষ করে লেগ-স্পিনার অ্যাডাম জাম্পারকে তিনি দক্ষতার সাথে সামলান, যিনি অতীতে কোহলিকে বেশ কয়েকবার আউট করেছিলেন। কোহলির পুল শট এবং ড্রাইভগুলো ছিল নিখুঁত, যা তাকে ঝুঁকি ছাড়াই রান সংগ্রহ করতে সাহায্য করে।
রাহুলের শান্ত মাথার খেলা
কোহলির আউটের পর রাহুল ম্যাচ শেষ করার দায়িত্ব নেন। তিনি ৩৪ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থেকে ৪৯তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে ভারতকে ফাইনালে পৌঁছে দেন। হার্দিক পাণ্ড্যাও ২৪ বলে ২৮ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
এই জয়ের মাধ্যমে ভারত ২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল। যদিও অস্ট্রেলিয়া তাদের কিছু প্রধান তারকা খেলোয়াড় ছাড়াই মাঠে নামে, তবুও এই জয় ভারতের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

উপসংহার
ভারতের জয় নিশ্চিত হলেও কোহলির সেঞ্চুরি এবং ইনিংসের আরও ভালো সমাপ্তি সবাই দেখতে চেয়েছিল। তবে ম্যাচের চাপে এমন ঘটনা ক্রিকেটে অস্বাভাবিক নয়। এখন সব চোখ ফাইনালের দিকে, যেখানে ভারত তাদের পঞ্চম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছে।
এই ম্যাচ প্রমাণ করল, ক্রিকেটে শুধু দক্ষতাই নয়, শান্ত মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। রাহুলের ধৈর্য এবং কোহলির মাস্টারক্লাস উভয়ই ভারতের জয়ের পথ সুগম করেছে।