Mr. Beast : বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় YouTube ক্রিয়েটর মিস্টার বিস্ট (MrBeast) একটি নতুন রেকর্ড গড়েছেন। তার YouTube চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৪০ কোটি অতিক্রম করেছে, যা তাকে প্ল্যাটফর্মের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ব্যক্তিগত কন্টেন্ট ক্রিয়েটরে পরিণত করেছে।
মিস্টার বিস্ট: সংক্ষিপ্ত তথ্যপত্র (Mr. Beast) :
| বিষয় | বিবরণ |
|---|---|
| আসল নাম | জিমি ডোনাল্ডসন (James Stephen “Jimmy” Donaldson) |
| YouTube চ্যানেল | MrBeast |
| সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা | ৪০ কোটি (জুন ২০২৫ অনুযায়ী) |
| খ্যাতির কারণ | বড় অঙ্কের চ্যালেঞ্জ, দান-খয়রাত, উচ্চ বাজেটের ভিডিও |
| মাইলস্টোন | ২০২৪ সালে T-Series-কে ছাড়িয়ে সবচেয়ে সাবস্ক্রাইবড YouTube চ্যানেল |
| বিতর্ক | Beast Games শোতে অংশগ্রহণকারীদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ |
| সমাজসেবা | অন্ধত্ব দূরীকরণ, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট, গৃহহীনদের সাহায্য |
| উল্লেখযোগ্য উক্তি | “আমি বেকার হলেও YouTube-ই করতে চাই” |
একটি অসাধারণ যাত্রা
মিস্টার বিস্ট (Mr. Beast), যার আসল নাম *জিমি ডোনাল্ডসন, ২০১২ সালে YouTube-এ গেমিং কন্টেন্ট দিয়ে শুরু করেছিলেন। প্রথম দিকে তার ভিডিওগুলো তেমন সাড়া ফেলতে না পারলেও, তিনি কখনই হাল ছাড়েননি। ২০১৭ সালে, *”১,০০,০০০ পর্যন্ত গণনা”** নামের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যা তাকে রাতারাতি বিখ্যাত করে তোলে।
X (পূর্বে টুইটার)-এ একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “১০ বছর আগে, যখন আমি সফল হইনি, তখন সবাই আমাকে বলত যে আমি খুব বেশি আবেশী এবং কখনই সফল হবো না। কিন্তু আমি কন্টেন্ট তৈরি করতে ভালোবাসতাম এবং দিনরাত পরিশ্রম করেছি। আমি আমার মাকে বলেছিলাম, ‘আমি বেকার হলেও এই কাজই করতে চাই।'”
T-Series-কে পেছনে ফেলে
২০২৪ সালে, মিস্টার বিস্ট (Mr. Beast) T-Series-এর রেকর্ড ভেঙে YouTube-এ সবচেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইবার পাওয়া ক্রিয়েটরে পরিণত হন। বর্তমানে, T-Series-এর সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২৯.৫ কোটি, যা মিস্টার বিস্টের তুলনায় অনেক পিছিয়ে।
বিতর্ক ও চ্যালেঞ্জ
মিস্টার বিস্টের সাফল্য মসৃণ নয়। ২০২৪ সালে, তার Beast Games নামক একটি রিয়েলিটি শো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এই শোতে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন যে তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, খাবার ও বিশ্রাম দেওয়া হয়নি এবং তারা যৌন হয়রানি ও অনিরাপদ পরিবেশের শিকার হয়েছেন।
এ বিষয়ে মিস্টার বিস্ট X-এ লিখেছিলেন, “আমাদের কাছে প্রচুর বিহাইন্ড-দ্য-সিন্স ফুটেজ আছে যা দেখাবে যে এই অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত। কিন্তু এখনই এটি প্রকাশ করতে পারবো না, কারণ এটি গেমসের সাসপেন্স নষ্ট করবে।”
সমাজসেবা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
মিস্টার বিস্ট শুধু বিনোদনই নয়, সমাজসেবামূলক কাজেও সক্রিয়। তিনি অন্ধত্ব দূর করার জন্য চোখের অস্ত্রোপচার, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট এবং জামাইকায় গৃহহীনদের জন্য বাড়ি নির্মাণের মতো প্রকল্পে অর্থায়ন করেছেন।
সাফল্যের রহস্য
২৭ বছর বয়সেই তিনি সবচেয়ে কম বয়সী স্ব-নির্মিত বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। তার সাফল্যের মূলমন্ত্র হলো অধ্যবসায়, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং দর্শকদের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা।
মিস্টার বিস্ট প্রমাণ করেছেন যে আগ্রহ, পরিশ্রম এবং ধৈর্য থাকলে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। তার এই যাত্রা শুধু YouTube-ই নয়, সমগ্র ডিজিটাল জগতের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।
