Raju Dar Pocket Paratha :“তিনটে পরোটা আনলিমিটেড তরকারী, ১ টা ডিম, একটা কাচালঙ্কা!” -রাজুদার কন্ঠ, শিয়ালদার পকেট পরোটা মানেই এখন রাজুদা। এই নামটিই বহু নেটিজেনের কাছে হয়ে উঠেছে পরিচিত এক ব্র্যান্ড। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর ফেসবুক পেজ এবং ভিডিয়োগুলি নিয়ে বেশ চর্চা চলছে। তবে নতুন কিছু ভিডিয়োতে রাজুদাকে ভিন্ন এক অবতারে দেখা যাচ্ছে। কখনও শিয়ালদার কোনও হোটেলের বিরিয়ানি নিয়ে কথা বলছেন, আবার কখনও একটি মোবাইল সেন্টারের পরিষেবা নিয়ে আলোচনা করছেন।
অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, রাজুদা কি ফুড ব্লগারদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজে হাত দিয়েছেন ?

Raju Dar Pocket Paratha
Jeet Birthday :টলিউডের বস জিতের ৪৬তম জন্মদিন, বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ভক্তদের সঙ্গে আবেগঘন উদযাপন।
ফেসবুকে রাজুদার পেজ ও ভাইরাল ভিডিয়ো
সম্প্রতি রাজুদা নিজের দোকানের নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলেছেন, যার নাম “রাজুদার পকেট পরোটা”। পেজটির ফলোয়ার সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এই পেজে প্রতিদিন ২-৩টি করে নতুন রিল পোস্ট হয়, যা নেটিজেনদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়। এই রিলগুলোর মধ্যে কিছু শুধুই রাজুদার পকেট পরোটা নিয়ে, আর কিছুতে দেখা যায় তাঁকে শিয়ালদার বিভিন্ন হোটেল বা দোকানের পরিষেবা নিয়ে আলোচনা করতে।
ফুড ব্লগিং নয়, ভাইয়ের জন্য সাহায্য
এই পরিবর্তন নিয়ে সরাসরি রাজুদার সঙ্গেই কথা বললে তিনি জানান, “পরোটা বিক্রি আমি ছাড়ছি না। পরোটা বিক্রি করেই মানুষ আমাকে ভালোবাসে এবং আমার সংসার চলে। এই ভিডিয়োগুলোতে যে হোটেল বা জায়গা দেখা যাচ্ছে, সেগুলো আমার এক দাদার। শিয়ালদায় তাঁর অনেক দিন ধরে একটি হোটেল আছে। ভাই হিসেবে আমাকে বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে, তাই ভিডিয়োর জন্য তাকে সাহায্য করছি।”
রাজুদা আরও বলেন, “মানুষ যে ভিডিয়োগুলো দেখছে, সেগুলো ওই হোটেলেরই। তবে ফুড ব্লগিং আমি করতে চাই না। আমার মূল ফোকাস পকেট পরোটা বিক্রির ওপরই থাকবে।”

Raju Dar Pocket Paratha
ফ্যানবেস কাজে লাগিয়ে নতুন উদ্যোগ
ফুড ব্লগিংয়ের জেরে আজ অনেক দোকানদারই জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। অনেকেই এখন তাঁদের ফ্যানবেসকে কাজে লাগিয়ে অন্য দোকানের প্রোমোশনে যুক্ত হচ্ছেন। রাজুদাও সেই পথে হাঁটতে শুরু করেছেন। তবে তাঁর মূল আয়ের উৎস এখনও পকেট পরোটা।
রাজুদার একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী জানান, “রাজুদার ফ্যান ফলোয়িং অনেক। তাই অনেকে রাজুদাকে দিয়ে ভিডিয়ো বানাতে চান। এই প্রোমোশনগুলোর জন্য কিছু পারিশ্রমিক নেওয়া হচ্ছে, যা রাজুদার সংসারে সাহায্য করছে। তবে পরোটা বিক্রিতে কোনও প্রভাব পড়ছে না।”
রাজুদার (Raju Dar Pocket Paratha) জীবন সংগ্রাম ও জনপ্রিয়তা
প্রতিদিন গুমা থেকে শিয়ালদা এসে ৪০০টি পরোটা বিক্রি করেন রাজুদা। এতে তাঁর আয় হয় দৈনিক ৬০০-৭০০ টাকা। এই সামান্য আয় দিয়েই তিনি সংসার চালান। তবে এখন ভাইরাল ভিডিয়োগুলোর জন্য কিছুটা অতিরিক্ত আয় হচ্ছে, যা তাঁর জীবনে নতুন আলো আনছে।
রাজুদা বলেন, “মানুষের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ। যত দিন পারি, আমি এই ভালোবাসা ধরে রাখার চেষ্টা করব।”

Raju Dar Pocket Paratha
শেষ কথা
রাজুদার এই যাত্রা শুধু একটি দোকানদারের সাফল্যের গল্প নয়; এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের শক্তি এবং সাধারণ মানুষের প্রচেষ্টার এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর এই নতুন উদ্যোগ আরও কতদূর নিয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
রাজুদার পকেট পরোটা খেয়েছেন কি? আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের জানান!