Share Market :ভারতের শেয়ার বাজার টানা দ্বিতীয় দিন ধরে ধাক্কা খেয়েছে। সোমবার কিছু সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও মঙ্গলবার ব্যাপক পতন দেখা গেছে। ব্যাংক নিফটি সূচকও এবার নিম্নমুখী হয়েছে, যা আগের দিন কিছুটা স্থিতিশীল ছিল।
ভারতীয় শেয়ার বাজারের (Share Market) হালনাগাদ (২০ মে, ২০২৪) জানুন সংক্ষিপ্ত তথ্য :
সূচক | বন্ধের মান | পরিবর্তন (পয়েন্ট) | শতাংশ পরিবর্তন |
---|---|---|---|
বিএসই সেনসেক্স | ৮১,১৮৬.৪৪ | -৮৭২.৯৮ | -১.০৬% |
এনএসই নিফটি ৫০ | ২৪,৬৮৩.৯০ | -২৬১.৫৫ | -১.০৫% |
ব্যাংক নিফটি | ৫৪,৮৭৭.৩৫ | -৫৪৩.৩৫ | -০.৯৮% |
মূল কারণ:
✔ গ্লোবাল মার্কেটের নেতিবাচক প্রবণতা
✔ বিনিয়োগকারীদের লাভ তোলা
✔ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিক্রি
✔ কোভিড সংক্রমণের নতুন খবর
বড় পতন: বাজাজ হোল্ডিংস, আইআরএফসি, এটারন্যাল, সুইগি
লাভের মুখে: ডিএলএফ, কোল ইন্ডিয়া, ওএনজিসি, নিউজেন সফটওয়্যার
সতর্কতা: বাজার অস্থির, বিনিয়োগে সাবধানতা প্রয়োজন।

বাজার বন্ধের সময় সূচকগুলোর অবস্থান
২০ মে, মঙ্গলবার, বিএসই সেনসেক্স ৮৭২.৯৩ পয়েন্ট (১.০৬%) পড়ে *৮১,১৮৬.৪৪-এ বন্ধ হয়েছে। এনএসই নিফটি ৫০ সূচক *২৬১.৫৫ পয়েন্ট (১.০৫%) কমে *২৪,৬৮৩.৯০-এ নেমে এসেছে। ব্যাংক নিফটি সূচকও *৫৪৩.৩৫ পয়েন্ট (০.৯৮%) হ্রাস পেয়ে ৫৪,৮৭৭.৩৫-এ পৌঁছেছে।
কেন পড়ল বাজার?
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্নলিখিত কারণগুলো বাজারের এই পতনের জন্য দায়ী:
- গ্লোবাল মার্কেটের প্রভাব: আন্তর্জাতিক বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা ভারতীয় শেয়ার বাজারে প্রভাব ফেলেছে।
- বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা: অনেক বিনিয়োগকারী লাভের অংশ তুলে নিচ্ছেন, ফলে বিক্রির চাপ বাড়ছে।
- প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে সাবধানতা: বড় বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থান নেওয়ায় বাজারে চাপ তৈরি হয়েছে।
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিক্রি: ফরেন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরস (এফআইআই)-এর বিক্রির কারণে বাজার নিচের দিকে চাপ অনুভব করেছে।
- সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার খবরে বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে।
কোন সেক্টরে বেশি ধস?
মঙ্গলবার শেয়ার বাজারে মূলত অটো ও ফিনান্সিয়াল সেক্টরে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। *বাজাজ হোল্ডিংস, আইআরএফসি, এটারন্যাল (জোমাটো), সুইগি-এর মতো স্টকে উল্লেখযোগ্য পতন হয়েছে। এটারন্যাল প্রায় *৪% এবং সুইগি ৩.৭৬% নিচে বন্ধ হয়েছে।

কোন স্টকে লাভ, কোনটিতে ক্ষতি?
- লাভের দিক: ডিএলএফ, কোল ইন্ডিয়া, ওএনজিসি, গেইল ইন্ডিয়ার মতো স্টকগুলো সবুজ রঙে বন্ধ হয়েছে।
- স্মল ক্যাপে উল্লেখযোগ্য লাভ: নিউজেন সফটওয়্যার ১৬% এবং জেনসার টেকনোলজি ৬.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।
কী হতে পারে সামনে?
বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে বাজার অস্থিরতায় ভুগছে। গ্লোবাল ট্রেন্ড, বিনিয়োগকারীদের মনোভাব এবং অর্থনৈতিক সংকেতগুলোর ওপর ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকা এবং দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এই পতন সাময়িক নাকি দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা আগামী কয়েকদিনের বাজার কার্যক্রমই নির্ধারণ করবে।