TikTok Return in India :পাঁচ বছর পর ফের ভারতের ডিজিটাল জগতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে টিকটক। চীনের এই শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মটির ওয়েবসাইট কিছু ব্যবহারকারীর কাছে অ্যাক্সেস করা সম্ভব হচ্ছে, যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে ফিরে আসার জল্পনা। তবে, সরকারের তরফ থেকে পরিষ্কার বার্তা এসেছে – এখনও নয়।
সংক্ষিপ্ত সারাংশ টেবিল দেওয়া হল ( TikTok Return in India ):
বিষয়বস্তু | সংক্ষিপ্ত বিবরণ |
---|---|
বর্তমান অবস্থা | টিকটকের ওয়েবসাইটের হোমপেজ কিছু ব্যবহারকারীর কাছে অ্যাক্সেস করা সম্ভব হচ্ছে, কিন্তু অ্যাপটি এখনও অফিশিয়াল অ্যাপ স্টোরে unavailable। |
সরকারি স্ট্যান্ড | ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রক স্পষ্ট করে দিয়েছে যে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে এবং আনব্লক করার যেকোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। |
নিষেধাজ্ঞার কারণ | ২০২০ সালে জাতীয় নিরাপত্তা, ডেটা Privacy ও সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত উদ্বেগের ভিত্তিতে ৫৯টি চীনা অ্যাপের সাথে টিকটক নিষিদ্ধ হয়। |
ভারতে টিকটকের ভবিষ্যৎ | সরকারি অনুমোদন ছাড়া অ্যাপটির ফিরে আসা সম্ভব নয়। বর্তমান সাইটের অ্যাক্সেস একটি টেকনিক্যাল ইস্যু বা টেস্টিং হতে পারে। |

TikTok Return in India
কী হচ্ছে ঠিক?
গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবহারকারীরা রিপোর্ট করছেন যে তারা সরাসরি টিকটকের ওয়েবসাইট (www.tiktok.com) ভিজিট করতে পারছেন। অনেকের কাছেই ওয়েবসাইটের হোমপেজ খুলছে। তবে, গভীরভাবে দেখতে গেলে সমস্যা দেখা যাচ্ছে। ‘নিউজরুম’ বা ‘ক্যারিয়ার্স’-এর মতো অন্যান্য পেজগুলোতে ঢোকার চেষ্টা করলে “আপনার দেশ বা অঞ্চলে এই পরিষেবা উপলব্ধ নয়” বা “৫০৩ সার্ভিস সাময়িকভাবে অনুপলব্ধ” এর মতো মেসেজ দেখাচ্ছে।
সবচেয়ে বড় কথা, টিকটকের অ্যাপটি এখনও গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে অনুপস্থিত। সেখান থেকে ডাউনলোড বা ইন্সটল করার কোনো সুযোগ নেই।

TikTok Return in India
সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য
এই সমস্ত জল্পনার মধ্যেই ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে খবর আসে যে টিকটক বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ অ্যাপকে আনব্লক করার কোনো নির্দেশ সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি। সরকারি সূত্রগুলি এই সংবাদকে “ভুল এবং বিভ্রান্তিমূলক” বলে আখ্যা দিয়েছে।
কেন নিষিদ্ধ হয়েছিল টিকটক?
২০২০ সালের জুন মাসে ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে জাতীয় নিরাপত্তা এবং ডেটা সুরক্ষার উদ্বেগকে কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার টিকটকসহ ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। সরকারের বক্তব্য ছিল যে এই অ্যাপগুলি “ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, দেশের প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং জনশৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিকর”।
টিকটক তখন ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল এবং এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০ কোটির কাছাকাছি ছিল বলে অনুমান করা হয়েছিল।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট
ভারত ছাড়াও টিকটক বিশ্বের অন্যান্য দেশেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও অ্যাপটির উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা চলছে। সেখানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি টিকটকের মার্কিন সম্পদ বিক্রির সময়সীমা বাড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন।
এদিকে, টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠা বাইটড্যান্স কর্মী ছাঁটাইসহ একাধিক কস্ট-কাটিং পদক্ষপ নিয়েছে বলে খবর রয়েছে।
তাহলে পরবর্তী ধাপ কী?
বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই স্পষ্ট যে টিকটক ভারতীয় মার্কেটে ফেরার কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমতি পায়নি। ওয়েবসাইটের হোমপেজের আংশিক অ্যাক্সেস একটি টেকনিক্যাল গলদ বা টেস্টিং পিরিয়ডের অংশ হতে পারে, কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা এখনও সম্পূর্ণভাবে বলবৎ রয়েছে।
ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য, টিকটকের পরিবর্তে শর্ট-ফর্ম ভিডিওের জগতে ইন্সটাগ্রাম রিলস, YouTube শর্টস এবং দেশি অ্যাপ মজর, চিংগারি-র মতো প্ল্যাটফর্মগুলিই এখনও প্রধান বিকল্প হিসেবে রয়েছে।
টিকটকের ভবিষ্যৎ ভারতেই বা বৈশ্বিকভাবে কী হয়, তা সময়ই বলবে।