কেজরিওয়াল যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যেমন যমুনা নদী পরিষ্কার করা এবং বায়ু দূষণ কমানো, সেগুলি পূর্ণ করতে পারেননি। এর ফলে জনসাধারণের মধ্যে হতাশা এবং আস্থা কমেছে।
মধ্যবিত্ত ভোটারদের সমর্থন হারানো
মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যারা পূর্বে AAP-কে সমর্থন করেছিল, তারা এখন BJP-র দিকে ঝুঁকেছে। কেজরিওয়ালের দুর্নীতির অভিযোগ এবং প্রতিশ্রুতি পূরণের ব্যর্থতার কারণে তারা বিরক্ত।
AAP এবং কংগ্রেসের মধ্যে কোনো জোট না হওয়ায় ভোট ভাগাভাগি হয়েছে, যা BJP-র লাভে পরিণত হয়েছে। কংগ্রেস প্রার্থীরা AAP-র ভোট শেয়ার নিয়ে গেছে, যা BJP-কে সাহায্য করেছে।
খারাপ রাস্তা, অপরিচ্ছন্নতা এবং পানির অভাবের মতো মৌলিক সমস্যা AAP-এর শাসনামলে অপরিবর্তিত ছিল। এই সমস্যাগুলি AAP-এর জনপ্রিয়তিতে ক্ষতি করেছে।
বায়ু দূষণ কমানোর জন্য নেওয়া উদ্যোগগুলি যেমন স্মোগ টাওয়ার কার্যকর হয়নি। পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতা AAP-কে ভোটারদের কাছে অযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
কেজরিওয়াল তার বিলাসবহুল সরকারি বাসভবনে ৩৩ কোটি টাকা ব্যয় করার অভিযোগের মুখে পড়েন। এই অভিযোগ তার ইমেজকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। Title 2
শাসনের প্রতি জনসাধারণের নেতিবাচক ধারণা
মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অব দিল্লি (MCD) নির্বাচনে AAP-এর বিজয় পরবর্তীতে তাদের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়েছে। শহরের সমস্যাগুলির জন্য AAP-কে দোষী মনে করা হয়েছে।
কেজরিওয়াল ২০২৪ সালের মার্চে মদ নীতি কেলেঙ্কারির সঙ্গে সম্পর্কিত অর্থপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। যদিও তিনি জামিন পেয়েছিলেন, তবুও এটি তার সততার উপর প্রশ্ন তুলেছে।
AAP-এর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং নেতৃত্বের অদৃশ্যতা দলের প্রচার প্রচেষ্টাকে দুর্বল করেছে। অনেক শীর্ষ নেতা পরাজিত হওয়ায় দলের সমর্থনে ঘাটতি দেখা গেছে।
দীর্ঘ ১২ বছর AAP শাসন করার পর কিছু ভোটার পরিবর্তন চাইছিলেন। দীর্ঘকালীন শাসনের পর সাফল্য না পাওয়ায় অনেকেই তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন।